cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বড়লেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (টিটিসি)-এর প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকে সেই প্রতিবেদককে উৎকোচ দিয়ে ম্যানেজ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস।
গণমাধ্যমে রঞ্জিত কুমারের আর্থিক অনিয়ম, স্কুলের সম্পদ আত্মসাৎ, লুটপাট, সেচ্ছাচারিতা, রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রতিবেদকের বাসা-বাড়ি,বাজার-ঘাট এমনকি অফিসে গিয়েও ধরণা দিচ্ছেন। মোটা অংকের আর্থিক সুবিধার (ঘুষ) প্রস্তাব দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, টাকা-পয়সা দিয়ে সাংবাদিককে ম্যানেজ করেছেন বলেও শিক্ষা প্রশাসন থেকে শুরু করে উপজেলার সর্বত্র প্রচারণা চালাচ্ছেন। কোথাও কোথাও এই প্রতিবেদককে চাঁদাবাজ হিসেবেও প্রমাণ করতে চাইছেন।
তার পক্ষে মাঠে কাজ করছে শিক্ষকদের সংগঠন উপজেলা শিক্ষক সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মুহিবুর রহমান মোঠোফোনে বার বার প্রতিবেদকে বৈঠকের প্রস্তাব দিচ্ছেন। সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে প্রধান শিক্ষক তার প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিবেদকের বাসায় দেখা করতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন’র মধ্যস্ততায় তা আটকে দেন এ প্রতিবেদক।
কোনো উপায়ান্তর না দেখে প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস বড়লেখা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করে প্রতিবেদকে দ্বিতীয় ধাপে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত রাখতে অনুরোধ করেন। শিক্ষক সমিতির সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রাধন শিক্ষক রঞ্জিত বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক যুগান্তরের বড়লেখা প্রতিনিধি আব্দুর রবের সাথে তার দক্ষিণভাগস্থ অফিসে সমঝোতা বৈঠক করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক নেতা প্রতাব কুমার দে, আব্দুস শাকুর খান, মনির উদ্দিন ও জুবের আহমদ প্রমুখ। সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মুহিবুর রহমান প্রতিবেদকে ফোন করে বৈঠকে উপস্থিত হতে অনুরোধ করেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রতিবেদক বৈঠকটি এড়িয়ে যান।
এদিকে প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস’র বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক সিলেট বরাবরে দরখাস্ত জমা দিয়েছেন এলাকাবাসী।
প্রতিবেদকের বক্তব্য :
বড়লেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (টিটিসি)-এর প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস’র বিরুদ্ধে গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় দৈনিক খবরপত্র এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সিলেটসহ আরো কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আমি তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমান নিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করি। সংবাদটি প্রকাশের পর থেকে শিক্ষক রঞ্জিত আমাকে নানা ভাবে, নানা স্থানে আমার সাথে দেখা করার অনুরোধ করেন, বিভিন্ন শিক্ষক নেতার মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করেন। এমনকি এক দিন বিকেলে আমার বাসায়ও চলে আসেন এবং সরাসরি ঘুষের প্রস্তাব দেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক জালালাবাদসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত কুমার দাস’র বিরুদ্ধে নতুন ভবনের বেইজ বসানোর অজুহাতে অতিরিক্ত গাছ বিক্রির অভিযোগ সহ আর্থিক অনিয়ম, স্কুলের সম্পদ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হয়। শিক্ষা বিভাগের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সে যাত্রায় নিজেকে রক্ষা করেন রঞ্জিত কুমার । তাছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির সক্রিয় সমর্থক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।